বিশ্ব জুড়ে করোনা-সংক্রমণে নতুন করে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ব্রাজিল। গত ২৪ ঘণ্টায় সে দেশে হাজারেরও বেশি সংক্রমিতের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখেও বিশ্বে আমেরিকা এবং রাশিয়ার পরেই রয়েছে লাতিন আমেরিকার দেশটি। ব্রাজিলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লক্ষ ৪০ হাজার ৮৩৯। মৃতের সংখ্যা ২১ হাজার ৬৭৮।
সম্প্রতি লাতিন আমেরিকাকে করোনা-সংক্রমণের ভরকেন্দ্র বলে ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। লাতিন আমেরিকায় ব্রাজিল ছাড়াও পেরু, মেক্সিকো, চিলের মতো দেশে হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণের হার। তবে সবচেয়ে বেশি ভয়াবহ অবস্থা ব্রাজিলের।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি লাতিন আমেরিকার প্রথম দেশ হিসাবে ব্রাজিলে করোনা সংক্রমণের সন্ধান মেলে। যদিও অনেকের মতে, তার আগে জানুয়ারি থেকেই অনেকের দেহে সংক্রমণের উপসর্গ দেখা গিয়েছিল। অনেকের মতে, অত্যন্ত কম হারে কোভিড-টেস্ট হওয়ায় ব্রাজিলে সংক্রমিতদের প্রকৃত সংখ্যাটা সামনে আসছে না এবং তা হলে সরকারি ভাবে ঘোষিত সংখ্যার থেকেও সে দেশে আরও ১৫ গুণ বেশি সংখ্যক মানুষ করোনার শিকার বলে জানা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
Read More News
ব্রাজিলের করোনা-পরিস্থিতি যে যথেষ্ট উদ্বেগজনক, তা স্বীকারও করেছে হু। সংস্থার ইমার্জেন্সিস ডিরেক্টর মাইক রায়ান বলেন, “লাতিন আমেরিকার বহু দেশ জুড়ে করোনা-পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তার কারণ রয়েছে। তবে এই মুহূর্তে ওই অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ব্রাজিল।” মৃতের সংখ্যার নিরিখেও বিশ্বে ছ’নম্বরে রয়েছে জাইর বোলসোনারোর দেশ। পর্যবেক্ষকের একাংশের মতে, আগামী জুনে সে দেশে করোনা-সংক্রমণের হার আরও বাড়বে।
ব্রাজিলের মতোই দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে লাতিন আমেরিকার অন্য এক দেশ পেরু। সে দেশে করোনা-সংক্রমিতের সংখ্যা ১ লক্ষ ১১ হাজার ৬৯৮। ইতিমধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ২৪৪ জন আক্রান্তের।
অন্য দিকে, মেক্সিকোতে ৬২ হাজার ৫২৭ জন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে বলে জানিয়েছে জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়। মৃত্যু হয়েছে ৬ হাজার ৯৮৯ জনের। চিলেতে ৬১ হাজার ৮৫৭ জন করোনার শিকার হয়েছেন। তার মধ্যে মারা গিয়েছেন ৬৩০ জন।