করোনাভাইরাসের মহামারীর জেরে বিশ্বজুড়ে ত্রাস। সংক্রমণ ছড়ানো আটকাতে বেশিরভাগ দেশই লকডাউনের পথে হেঁটেছে। ভারতেও চলছে চতুর্থ দফার লকডাউন, চলবে ৩১ মে পর্যন্ত। করোনার সংকটে বন্ধ সমস্ত কাজ। বন্ধ রয়েছে সিনেমা-সিরিয়ালের শ্যুটিংও।
কিন্তু ধীরে ধীরে দেশের বিভিন্ন স্থানে শিথিল হচ্ছে লকডাউন। এই পরিস্থিতিতে শ্যুটিং শুরু হবে ইন্ডাস্ট্রিতেও। তবে করোনা-পরবর্তী সময়ে কী ভাবে শ্যুটিং হবে এবং কী ধরনের সাবধানতা অবলম্বন করা হবে তা নিয়ে একটি সুচিন্তিত নিয়মাবলী জারি করেছে প্রোডিউসার্স গিল্ড অফ ইন্ডিয়া। এর নাম রাখা হয়েছে স্ট্যানডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর। এই গাইডলাইন রয়েছে টেলিভিশন বা সিনেমা যে কোনওটিরই শ্যুটিংয়ের সময় কী কী করতে হবে।
Read More News
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের নির্দেশে মুম্বইতে খুব শীঘ্রই শ্যুটিং শুরু করবে টেলিদুনিয়া। তবে করোনা-সতর্কতায় শ্যুটিংয়ের সময় কী কী মেনে চলতে হবে তা বলে দেওয়া হয়েছে।
হাত ধোওয়া এবং স্যানিটাইজ করা বাধ্যতামূলক। সব ক্রিউ মেম্বারদের ত্রিস্তরীয় গ্লাভস ও মাস্ক দেওয়া হবে। শ্যুটিংয়ের সময় তাঁদের সেগুলি পরে থাকতেই হবে। শ্যুটিংয়ের আগে ও পরে গোটা স্টুডিয়ো স্যানিটাইজ করতে হবে। সরকারই এ ক্ষেত্রে সাহায্য করবে।
কোনও কাজের শ্যুটিং শুরুর আগে প্রোডাকশন কোম্পানিকে একটি সুস্থতার সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে। করোনাভাইরাস পরীক্ষার পর সেটি নেগেটিভ এসেছি কিনা তা জানিয়ে একটি ফর্ম ভরতে হবে শিল্পীদের।
সেটে ঢোকার আগে সমস্ত শিল্পী ও ক্রিউ মেম্বারদের শরীরের তাপমাত্রা মাপা হবে থার্মাল স্ক্যানিঙের মাধ্যমে। সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী বেঁধে দেওয়া তাপমাত্রার হেরফের দেখা গেলেও কাজ করা যাবে না। তাপমাত্রা ঠিক পাওয়া গেলে হাতে একটি ব্যান্ড লাগিয়ে সেটে ঢুকতে হবে।
কোনও সিনে যেখানে অনেক মানুষ দেখাতে হবে সেখানে অন্তত প্রত্যেকের মধ্যে ২ মিটারের দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
প্রথম তিন মাস সেটে ২ জন জুনিয়র ডাক্তার ও একজন প্রশিক্ষিত নার্সকে থাকতেই হবে। ২ শিফটে আলাদা আলাদা ভাবে নিয়োগ করতে হবে। ব্যবস্থা রাখতে হবে অ্যাম্বুল্যান্সের।
আগামী ৩ মাস ৬০ বছরের উপরের শিল্পীদের শ্যুটিং করানো যাবে না।
এক দিনের শ্যুটিংয়ে যাঁরা কাজ করবেন, পরের দিন তাঁরা আসবেন না। এমন ভাবে রোটেশনাল পদ্ধতি মেনে শ্যুটিং করতে হবে।
কাস্টিং এবং অডিশন অনলাইনে করার নির্দেশ গিল্ডের।
সমস্ত মেক-আপ আর্টিস্টকে সেটে উপযুক্ত PPE ব্যবহার করতে হবে। মেক-আপের আগে ও পরে হ্যান্ড স্যানিটাইজ করতে হবে। ভ্যানিটি ভ্যানে কোনও বাড়তি মানুষের উপস্থিতি নিষেধ।