হবু মার্কিন ভাইস-প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের দৌলতে নতুন করে শিরোনামে মালাইকা শেরাওয়াত। তবে এগারো বছর আগে কমলা হ্যারিস যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হতে পারেন এমনই ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন বলিউড অভিনেত্রী। নিজের ট্যুইটারে সেকথা লিখেওছিলেন মল্লিকা। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় নতুন করে শিরোনামে মল্লিকার সেই ট্যুইট এবং তাঁদের একসঙ্গে পার্টি করার ছবি।
Read More News
কেউ কি জানত কমলা হ্যারিস এবং মল্লিকা শেরাওয়াত একে অপরকে চেনেন? শুধু চেনেনই না, বরং একসঙ্গে পার্টিও করেছেন তাঁরা। ২০০৯ সালে একটি পার্টিতে দেখা হয়েছিল দুজনের। সেই সময় ডেমোক্র্যাটিক পার্টির হয়ে একটি ক্যাম্পেনে যোগ দিয়েছিলেন কমলা। তখন নিজের একটি ছবির চরিত্রের জন্য আমেরিকায় গিয়েছিলেন মল্লিকাও। সান ফ্রান্সিসকোতে ২০০৯ সালে একটি পার্টিতেই প্রথমবার দেখা হয়েছিল দুজনের। সেই সময় ছবিও তুলেছিলেন তাঁরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ১১ বছর আগেকার ছবিই এখন নতুন করে ভাইরাল।
https://www.facebook.com/MallikaSherawat/photos/a.649824625061348/3566834800026968/
কমলা হ্যারিসের সঙ্গে দেখার হওয়ার পর মল্লিকা ট্যুইট করেছিলেন যে, ‘একটা পার্টিতে মজা করলাম এক মহিলার সঙ্গে, কমলা হ্যারিস। অনেকেই বলছেন তিনি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হতে পারেন।’ মল্লিকার এমন দূরদর্শিতার প্রশংসাও করেছেন নেটপাড়ার বাসিন্দারা। সান ফ্রান্সিসকোর অ্যাটর্নি জেনারেল ছিলেন কমলা হ্যারিস। তখনই দেখা হয়েছিল মল্লিকা কমলার। ফেসবুকেও মল্লিকা শেয়ার করেছিলেন তাঁদের ছবি। ‘পলিটিকস অফ লভ’ নামের একটি ছবির জন্য কমলার কাছ থেকেই অনুপ্রেরণা পাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন মল্লিকা।
উইলিয়াম ডিয়ার পরিচালিত এই ছবিটিতে ব্রায়ান জের সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন মল্লিকা শেরাওয়াত। বলিউডে বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় ছবিতে কাজ করার পর অবশ্য ইন্ডাস্ট্রি ছেড়ে হলিউডে চলে গিয়েছেন মল্লিকা। অন্যদিকে, এ বছরের মার্কিন নির্বাচনে জিতে গিয়েছেন জো বাইডেন। তাঁরই দলের কমলা হ্যারিস হতে চলেছেন দেশের প্রথম মহিলা ভাইস-প্রেসিডেন্ট।
Visit More News
নির্বাচনে জয়ী হয়ে আমেরিকার ২৫০ বছরের ইতিহাসে প্রথম কোনও কৃষ্ণাঙ্গ মহিলা ভাইস প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন ক্যালিফোর্নিয়ার এই সেনেটর। গড়েছেন নতুন এক ইতিহাস। আমেরিকার ইতিহাসে এ পর্যন্ত মাত্র দু’জন মহিলা ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে লড়েছেন। ২০০৮ সালে রিপাবলিকান পার্টির হয়ে সারা পলিন, ১৯৮৪ সালে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির জেরালডিন ফেরারো। তাঁদের কেউই নির্বাচিত হতে পারেননি। আবার বাইডেন তাঁর মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ক্ষমতা ছেড়ে দিলে প্রথম মহিলা প্রেসিডেন্ট পাবে যুক্তরাষ্ট্র। এটা আরও বড় রেকর্ড।