রোমাঞ্চ তৈরি হওয়া ম্যাচটিতে অবশ্য শেষ হাসি হাসে বেক্সিমকো ঢাকা। ফরচুন বরিশালকে নয় রানে হারিয়ে কোয়ালিফায়ার রাউন্ডে ওঠে মুশফিকুর রহিমের দল। হারের স্বাদ নিয়ে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেয় তামিম ইকবালের বরিশাল। জয়ের ম্যাচে ব্যাট হাতে ৫৪ রান করে ম্যাচসেরা হন ইয়াসির আলী রাব্বি।
এলিমিনেটর ম্যাচে মেজাজ হারিয়ে সতীর্থ নাসুম আহমেদকে মারতে গিয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম। এমন ঘটনার জন্য ভক্ত-দর্শকদের কাছে ক্ষমা চাইলেন বেক্সিমকো ঢাকার অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। একই সঙ্গে ম্যাচ শেষে নাসুমের কাছে তিনি ক্ষমা চেয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেইজে নাসুমের সঙ্গে একটি হাস্যোজ্জ্বল ছবি পোস্ট করেছেন মুশফিক। পোস্টের ক্যাপশনে জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে এমন কাজ আর করবেন না তিনি।
Read More News
সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে মুশফিক লিখেছেন, গতকালের ম্যাচের ঘটনার জন্য প্রথমত আমি আমার সব ভক্ত ও দর্শকের কাছে ক্ষমা চাই। ম্যাচের পরই আমি সতীর্থ নাসুমের কাছে ক্ষমা চেয়েছি। দ্বিতীয়ত, আমি সৃষ্টিকর্তার কাছেও ক্ষমা প্রার্থনা করছি। সবসময়ই মনে রাখার চেষ্টা করি, আমি সবকিছুর ওপরে একজন মানুষ এবং মাঠে যে আচরণ কালকে করেছি সেটা মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমি কথা দিচ্ছি, ভবিষ্যতে এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি মাঠের ভেতরে বা বাইরে আর হবে না।’
গতকাল বরিশালের বিপক্ষে ম্যাচে মেজাজ হারিয়েছিলেন মুশফিক। প্রথমে ১৩তম ওভারে নাসুমের বলে ছক্কা হাঁকান আফিফ। পরের বল মিড উইকেটে মেরে এক রান নিতে ছুটেন আফিফ। ওই সময় রান আটকাতে একসঙ্গে দৌড়ান বোলার নাসুম ও উইকেটকিপার মুশফিক। দুজন একসঙ্গে মুখোমুখি হয়ে যাওয়ায় রানআউট করা যায়নি। তখন মেজাজ হারিয়ে নাসুমের দিকেই বল ছুড়তে উদ্যত হন মুশফিক।
১৭তম ওভারে আরেকবার মেজাজ হারান মুশফিক। শফিকুলের করা অফ স্টাম্পের বাইরের বল উইকেটের কিছুটা পেছনে তালুবন্দি করেন মুশফিক। ওই ক্যাচ ধরতে শর্ট ফাইন লেগ থেকে নাসুমও দৌড়ান। দুজনের প্রায় ধাক্কা লেগে যাওয়ার উপক্রম হয়। সেই মুহূর্তে ক্যাচ ধরতে পারলেও মেজাজ হারান অধিনায়ক। ক্যাচ নেওয়ার পর নাসুমকে মারতে উদ্যত হোন মুশফিক। পরে অবশ্য নিজেকে সামলে খেলা চালিয়ে যান মুশফিক।