সংগীতশিল্পী সাজিয়া সুলতানা পুতুলের সংসার ভেঙেছে। মত ও আদর্শে মিল না হওয়ায় এমন ঘটনা ঘটেছে বলে ফেসবুক স্ট্যাটাসে জানিয়েছেন এই সংগীতশিল্পী। যদিও বিচ্ছেদের তারিখ নির্দিষ্ট করেননি তিনি।
২০১৯ সালের ১৫ মার্চ পারিবারিকভাবে পুতুল-নুরুলের বাগদান হয়েছিল। এরপর ২০ মার্চ কানাডাপ্রবাসী আলোকচিত্রী ইসলাম নুরুলের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন সংগীতশিল্পী সাজিয়া সুলতানা পুতুল।
Read More News
রোববার (১৪ মার্চ) রাত সাড়ে ১১টার দিকে ফেসবুক স্ট্যাটাসে পুতুল লিখেছেন, ‘দুই বছর আগে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলাম, ঢুকেছিলাম যুগল জীবনযাপনে। বিবাহিত জীবনের খুব অল্প দিনের মাথায় বুঝেছিলাম পথটা কঠিন থেকে কঠিনতর হচ্ছে। এই পথটা ঠিক যেন আমার কল্পনার সেই পথটা নয়, যে পথে আনন্দে হেঁটে নেওয়া যায় অক্লেশে। মত আর আদর্শিক পার্থক্যগুলো নিছক পার্থক্য থেকে রূপ নিচ্ছিল চূড়ান্ত দ্বন্দ্বে। সম্পর্ক মুমূর্ষু হচ্ছিল, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল আমার সৃষ্টিশীল সত্তা। বিচ্ছিন্নতার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম তখনই। হয়েছিল বিচ্ছেদ। অতঃপর আবার আমার সেই একক জীবনে ফেরা, সুর আর সাহিত্যের সাথে নির্বিঘ্ন একক সংসার। বিয়েটা ঘটা করে হবার বিষয়, বিচ্ছেদে ঘটা করার কিছু নেই। বিচ্ছেদে বিষাদের সুর বাজে আত্মায়। সেই সুর মন পাড়াতে একলা বাজাই ভালো। সকলকে নিয়ে সেই বিচ্ছেদি সুর উদযাপনের কিছু নেই।’
পুতুলের বিচ্ছেদ হয়েছে আরও আগে। তবে কবে, কখন তা পরিষ্কার করে কিছুই বলেননি তিনি। এত দিন পর বিচ্ছেদের খবর প্রকাশ করার কারণ প্রসঙ্গে পুতুল লিখেছেন, ‘এত দিন পর এই কথাগুলো বলার একটাই কারণ, সম্পর্কটার ভেতরে থাকলে যৌথ জীবন উদ্যাপনের দুই বছর হতো আজ। যেহেতু একক জীবন যাপন করছি, এই দিনটার কোনো বিশেষত্ব বা মহিমা নেই। বছরের অন্য দিনগুলোর মতোই একটা তারিখমাত্র। শুভেচ্ছা, শুভকামনা জানানোর কিছু নেই। জীবন সহজ হওয়ার স্বপ্নে যেমনি শুভকামনা জানাই নিজেকে নিজে প্রতিদিন, আজও তা জানাচ্ছি।
সাজিয়া সুলতানা পুতুল। প্রজন্মের জনপ্রিয় গায়িকা। তবে শুধু গায়িকা বললে ভুলই হবে। তিনি গীতিকার, সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক। উপস্থাপক হিসেবেও তার নাম আছে বেশ। গানের এই পাখির যাত্রা শুরু হয়েছিল ক্লোজআপ ওয়ান প্রতিযোগিতার মাধ্যমে।