চিত্রনায়িকা পরীমনিরকে আটক করেছে র্যাব। তাঁর বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বনানীর বাসা থেকে তাঁকে আটক করা হয়। এর আগে বিকেল থেকে পরীমনিরর বাসায় তল্লাশি চালায় র্যাব।
পরীমনির বাসায় অভিযান চালিয়ে বিপুল মাদক পাওয়া গেছে। এসব মদ কোথা থেকে এলো, তা জানার জন্য পরীমনিরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। অভিযান শেষে তাঁকে র্যাব সদর দপ্তরে নেওয়া হবে। তখন বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
বিকেলে অভিযান চলাকালে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেছেন, পরীমনিকে র্যাবের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। আমরা তাঁর বাসায় অভিযান চালাচ্ছি। বাসার ভেতর তল্লাশি করা হচ্ছে। বাসায় কোনো অবৈধ জিনিস আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বাসায় অভিযান শেষে অনৈতিক কিছু পাওয়া গেলে তাঁকে আটক করা হতে পারে।
Read More News
বিকেল ৪টার দিকে পরীমনি তাঁর ফেসবুক লাইভে বলেন, ‘আমি ফেসবুক লাইভে আছি। লাইভেই থাকব। লাইভ থেকে বের হব না। আমার কিছু হবে, আর তা বিশ্ব দেখবে না? মরতে তো হবেই। সবাইকে নিয়ে মরব। আপনারা বুঝতে পারতেছেন আমার অবস্থা? আমি এই ভয়টাই পাইতেছিলাম। ভাই, আপনারা কিছু দেখতেছেন না? বলতেছেন না? আচ্ছা, আমার পরিচিত লোকজন দেখতেছে না এরা কারা? একটু আসবেন? দেখবেন? এরা কারা? ঘর-দরজা ভাঙচুর করছে। আমি এখন কী করব? আপনারা সবাই দেখতেছেন। পুরো মিডিয়ার লোক দেখতেছে। কিন্তু কিছু বলতেছে না। আপনারা যারা মিডিয়ার লোকজন আছেন, তারা একটু বাঁচাতে আসবেন? আমি মরে যাচ্ছি একদম। একজন কালো পোশাক, লাল পোশাক পরে এসেছেন। শুধু বলতেছে আমরা পুলিশ। তারা বাড়ির মেইন গেট-দরজা ভাঙাভাঙি করতেছে। গেট ভেঙে উপরে এসেছেন। আপনারা কেউ আসবেন? এভাবে আসার মানে কী? তারা কি আমাকে মেরে ফেলবে? আমি এই ভয়টাই পাচ্ছিলাম।
আমি বনানী থানায় ফোন দিলাম। হারুণ (ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মো. হারুন অর রশীদ) ভাইকে ফোন দিলাম। তখন হারুন ভাই আমাকে বললো, আমার এখান থেকে কোনো টিম যায়নি। আপনি দরজা খুলবেন না। থানায় ফোন দিলাম, আসতে বললাম। কিন্তু কেউ আসছে না। আমি লাইভ শুরু করার পর থেকে ৩০ মিনিট হয়ে গেছে। কিন্তু, পুলিশ আসছে না।
যারা আসছে তাদের কাছে প্রথমে সালাম দিয়ে জানতে চাইলাম, আপনারা কারা? তারা শুধু বলে আমরা পুলিশ। খুলেন, তারপর দেখাইতেছি। এ কথাই তো আমি নিতে পারিনি।’
লাইভের ৩০ মিনিটের সময় পরীমনি দরজা খুলতে যান। সে সময় বাইরে থাকা লোকজনের কাছে পরীমনি জানতে চান, ‘আপনারা কারা?’ তখন ওপাশ থেকে বলা হয়, আমরা র্যাব সদর দপ্তর থেকে আসছি। আপনাকে বলা হচ্ছে, দরজা খোলেন, কিন্তু আপনি আমাদের অসহযোগিতা করছেন। আপনি লাইভটা প্লিজ কেটে দেন।
তখন পরীমনি বলেন, কেন লাইভ কেটে দিতে হবে? আপনারা মোবাইল নিয়ে নিচ্ছেন কেন?’ সে সময় র্যাব থেকে বলা হয়, ‘আমরা আইনানুগভাবেই এগুলো নিচ্ছি।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা ও মরিয়ম আক্তার মৌ গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন। তাদের বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মদ-ইয়াবাসহ নানা মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে।