ঈদ উপলক্ষে সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে ঢাকা ছাড়ছেন বহু মানুষ। গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও রাজধানী থেকে নানা ধরনের যানবাহনে করে গ্রামে ফিরছেন তারা। করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও পণ্যবাহী গাড়ির পাশাপাশি চলাচল বেড়েছে ব্যক্তিগত যানের।
রাজধানীর গাবতলী, আবদুল্লাহপুর, সায়েদাবাদসহ সবগুলো প্রবেশ পথেই রয়েছে ঢাকা ছেড়ে যাওয়া মানুষের ভিড়। ঝুঁকি নিয়ে ট্রাক, অ্যাম্বুলেন্স, পিকআপভ্যান ও মোটরসাইকেলে করে ঢাকা ছাড়ছেন অনেকে। এসব জায়গায় যাত্রী নিয়ে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন মোটরসাইকেল চালকদের পাশাপাশি সিএনজিসহ অনেক প্রাইভেট গাড়িও।
গত ২৬ মার্চ থেকে চলছে সাধারণ ছুটি। বন্ধ রয়েছে গণপরিবহন। কিন্তু নানা ফন্দিতে ঢাকা ছাড়ছে কৌশলী মানুষ। বেশি টাকা খরচ হলেও ভেঙে ভেঙে নানা যানবাহনে মানুষ ছুটছে। তবে যাদের সামর্থ্য আছে, তাদের অনেকে অসুস্থতার ছুতায় অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়া করে ঢাকা ছাড়ছে।
Read More News
চেকপোস্টে পুলিশ তল্লাশি করলেও নানা বাহানা দেখানো হচ্ছে। করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) ঝুঁকি থেকে নিরাপদ থাকতে ন্যূনতম তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলা হলেও গাদাগাদি করে মানুষ গ্রামে যাচ্ছে।
গতকাল ইসলামের সঙ্গে কথা হয় পাটুরিয়া ৪ নম্বর ফেরিঘাটে। তিনি জানান, ঢাকার গাবতলী থেকে পাটুরিয়া ঘাটের দূরত্ব কমবেশি ৬০ কিলোমিটার। স্বাভাবিক সময় এ রাস্তাটুকু পার হতে সময় লাগে বড়জোর আড়াই ঘণ্টা। পরিবহন ভেদে ভাড়া ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। অথচ রাস্তায় কোনো যানজট না থাকলেও তাঁর সময় লেগেছে প্রায় ছয় ঘণ্টা। আর খরচা হয়েছে ৫০০ টাকার ওপর।
শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌপথে ঘরমুখী যাত্রীদের ভিড় বাড়ছেই। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ঢাকা থেকে বিভিন্ন পরিবহনে শিমুলিয়া ঘাটে এসে ফেরিতে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছে তারা। তবে গতকাল রবিবার শিমুলিয়া ঘাটে যেতে যাত্রীদের অনেক দুর্ভোগের মুখে পড়তে হয়। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বেশ কয়েকটি চেকপোস্টে যাত্রীদের নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছে। অনেক যানবাহনকে ফিরিয়েও দিয়েছে পুলিশ।
এদিকে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ থাকায় ফেরিতে কোরেই পদ্মা পাড়ি দেন যাত্রীরা। সাত কিলোমিটারের এই নৌরুটে যাত্রী চাপ বাড়ায় ১৭টি ফেরির মধ্যে ১৪টি পারাপারে ব্যবহৃত হচ্ছে। শারীরিক দূরত্ব না মানায় সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা বাড়ছে।