তৈরি পোশাক খাতের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমএইএ নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে। পরিচালক পদে ৩৫টি আসনের মধ্যে জায়ান্ট গ্রুপের ফারুক হাসানের নেতৃত্বে ‘সম্মিলিত পরিষদ’ পেয়েছে ২৪টি। অন্যদিকে হান্নান গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবিএম সামসুদ্দিনের প্যানেল ‘ফোরাম’ পেয়েছে ১১টি। ফলে ফোরামের প্যানেল লিডার হিসেবে ফারুক হাসান সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা হিসেবে বিজিএমইএ’র আগামী পর্ষদের সভাপতি হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
Read More News
এদিকে বিজিএমইএ দেওয়া সর্বশেষ ফলাফলে জানা যায়, সর্বোচ্চ ৯৯৭ ভোট পেয়েছেন ফারুক হাসান আর ৯৫৪ নিয়ে বিজিএমইএ’র বর্তমান সভাপতি ও ফোরামের নেত্রী ড. রুবানা হক হয়েছেন দ্বিতীয়। এছাড়া ১০৭৮ ভোট পেয়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন বিজিএমইএ সাবেক সহসভাপতি এসএম মান্নান কচি। ফোরামের প্যানেল লিডার এবিএম সামসুদ্দিন পেয়েছেন ৯০৪ ভোট।
ঢাকায় সম্মিলিত পরিষদের বিজয়ীরা হলেন, ফারুক হাসান, এস এম মান্নান, আরশাদ জামাল, শহীদউল্লাহ আজিম, শেহরীন সালাম, আসিফ আশরাফ, মহীউদ্দিন রুবেল, তানভীর আহমেদ, খসরু চৌধুরী, আব্দুল্লাহ হিল রাকিব, হারুন অর রশীদ, রাজীভ চৌধুরী, মিরান আলী, খন্দকার রফিকুল ইসলাম, ইমরানুর রহমান, নাছির উদ্দিন ও সাজ্জাদুর রহমান মৃধা। এখানে ফোরামের বিজয়ীরা হলেন-রুবানা হক, এম এ রহিম, মাহমুদ হাসান খান, আসিফ ইব্রাহিম, ফয়সাল সামাদ, নাভিদুল হক, ভিদিয়া অমৃত খান, ইনামুল হক খান, মিজানুর রহমান।
অন্যদিকে চট্টগ্রামে সম্মিলিত পরিষদের বিজয়ীরা হলেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তানভীর হাবিব, এ এম শফিউল করিম, মো. হাসান, এম আহসানুল হক, রকিবুল আলম চৌধুরী, মোহাম্মদ মেরাজ-ই-মোস্তফা। আর ফোরামের বিজয়ীরা হলেন মো. এম মহিউদ্দিন চৌধুরী ও মোহাম্মদ আবদুস সালাম।
বিজয়ী পরিচালকেরা আগামী ১৬ এপ্রিল সভাপতি ও সাতজন সহসভাপতি নির্বাচিত করবেন। তারপর সবকিছু ঠিক থাকলে ২০ এপ্রিল আগামী দুই বছরের নতুন কমিটি বিজিএমইএর দায়িত্ব নেবে।
দীর্ঘ আট বছর পর বিজিএমইএর নেতৃত্ব নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ভোট হয়েছে। ঢাকা ও চট্টগ্রামে সংগঠনের ৩৫ পরিচালক পদের জন্য লড়েছেন নির্বাচনকেন্দ্রিক জোট সম্মিলিত পরিষদ ও ফোরামের ৭০ জন প্রার্থী। স্বাধীনতা পরিষদ নামের আরেকটি জোট সম্মিলিত পরিষদ সঙ্গে যৌথভাবে নির্বাচন করেছে।
মহামারি করোনার উচ্চ সংক্রমণের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব মেনে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে নির্বাচন বোর্ড ভোটের সময় আট ঘণ্টার পরিবর্তে দশ ঘণ্টা করা হয়।